স্বাধীনতা দিবস রচনা

স্বাধীনতা দিবস রচনা নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি আমাদের “বাংলা রচনা সম্ভার” সিরিজের “প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশ দূষণ” বিভাগের একটি রচনা। রচনা মুখস্থ করার বিষয় নয়। এই নমুনাটি নিয়ে আপনি নিজের মতো চর্চা করুন। তারপর নিজের মতো করে লিখুন।

স্বাধীনতা দিবস রচনা | আন্তর্জাতিক ও জাতীয় দিবস | বাংলা রচনা সম্ভার

স্বাধীনতা দিবস রচনা

ভূমিকা :

স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। স্বাধীনতা একটি জাতিকে তার নিজের মতো করে দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার সুযোগ এনে দেয়। স্বাধীনতা আমাদের সামনে স্বর্ণদুয়ার খুলে দেয়, যে দুয়ার দিয়ে প্রবেশ করে আমাদের যুগসঞ্চিত জঞ্জাল দূর করার পথ খুঁজে পেয়েছিলাম। স্বাধীনতা দিবস জাতীয় জীবনে অর্জিত একটি লাল তারিখ, স্মরণীয় দিন।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল এ দেশের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র স্বাধীনতার সংগ্রাম। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। ফলে অনেক রক্ত, ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। এর জন্য ৩০ লাখ মানুষকে শহীদ হতে হয়েছে, ২ লাখ মা-বোনকে ইজ্জত হারাতে হয়েছে। আমরা এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক। এ স্বাধীনতাকে আমাদের যে কোনো মূল্যে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। স্বাধীনতার চেতনাপন্থী কোনো কাজে লিপ্ত না হয়ে স্বনির্ভর, সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করতে হবে। সুখী, সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়তে পারলেই স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে।

স্বাধীনতা দিবস | আন্তর্জাতিক ও জাতীয় দিবস | বাংলা রচনা সম্ভার

 

স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি :

ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আর লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে অর্জিত যে স্বাধীনতা তা একদিনে আমাদের করায়ত্ত হয়নি। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক চড়াই-উত্রাই পেরিয়ে তবেই অর্জন করেছি আমরা এ. স্বাধীনতা। তাই মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য বুঝতে হলে আমাদেরকে এর পটভূমি জানা দরকার। মুক্তিযুদ্ধের পিছনের ইতিহাস যেমন তিক্ত তেমনি মধুরও। কেননা ইতিহাসের প্রতিটি পর্বে বাংলার জনগণ তাদের শক্তি, সাহস, শৌর্য এবং বীর্যের পরিচয় দিয়েছে। যখনই কোনো ক্রান্তিকাল এসেছে, বাংলার দামাল ছেলেরা পিছনে না গিয়ে সগর্বে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি যদিও ব্যাপক এবং বিস্তৃত তবুও এটি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য হলো জাতীয় স্মৃতিসৌধ, যা সম্মিলিত প্রয়াস নামেও পরিচিত। এ স্মৃতিসৌধের রয়েছে সাতটি ফলক, যা স্বাধীনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সাতটি পর্যায়ের নিদর্শন স্বরূপ। তাই বিস্তৃত আলোচনায় না গিয়ে এ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের ধারাবাহিক বর্ণনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি আলোচনা করা যায়।

মুক্তিযুদ্ধের এ সাতটি পর্যায়ে হলো- ১. ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ২. ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ৩, ৫৮-এর সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ৪. ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন বা শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন, ৫. ১৯৬৬ সালের ছয়দফা আন্দোলন, ৬. ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ৭. ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে বর্তমান বাংলাদেশ ব্রিটিশ-ভারত থেকে বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

তখন এর নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের প্রত্যাশা ছিল সব ধরনের শাসন-শোষণের অবসান ঘটবে। কিন্তু শোষণ ও  বঞ্চনার অবসান হয়নি। পাকিস্তান রাষ্ট্রের শুরুতে পাকিস্তানি শাসকচক্র তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। শোষণ-নিপীড়ন-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল এ দেশের মানুষ। তখন এ দেশের মানুষের সামনে উন্মোচিত হয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি শাসকচক্রের মুখোশ। তারই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে।

স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলন, ভাষা-সাংস্কৃতিক-ভৌগোলিক অবস্থান সব কিছুই ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ার বিপক্ষে। পাকিস্তান সৃষ্টির শুরুতেই আঘাত আসে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালির বাংলা ভাষার ওপর। পাকিস্তান শাসকচক্র উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করলে প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এ দেশের ছাত্র ও তরুণসমাজ। রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে এ দেশের মানুষ বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করে নিতে সক্ষম হয়েছিল।

শহীদ হয়েছিল রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ আরো অনেকে। ১৯৫২ সালের মহান ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের গরবিনী মাতৃভাষার আন্দোলন ও চেতনায় অর্জিত হয়েছে আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে মহান ভাষা আন্দোলনের সর্বোত্তম প্রাপ্তি বাঙালির, বাংলা ভাষাভাষী মানুষের স্বাধীন আবাসভূমি বাংলাদেশ।

 

স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাস :

স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাসে এ দেশের মানুষ প্রাণ দিয়েছে, অত্যাচারিত হয়েছে, মা-বোনেরা সম্ভ্রম হারিয়েছে। জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। হানাদার পাকিস্তানিদের দোসর এ দেশের রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তিবাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানিদের সহায়কশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। মুক্তিপাগল এ দেশের মানুষ সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য মুক্তিবাহিনী গঠন করে। এ দেশের ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, ইপিআর, পুলিশ, সেনাবাহিনীর বাঙালি সদস্য ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হন কর্নেল এম এ জি ওসমানী। মুক্তিবাহিনীকে সহযোগিতা করে ভারতীয় মিত্রবাহিনী। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।

 

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন :

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল। বলে, ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। তারপর থেকে প্রতি বছর এ দিনটি স্মরণীয় দিবস হিসেবে জাতীয় মর্যাদার সাথে পালিত হয়ে আসছে। এদিন দেশের সকল বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকে।

দিবসটি উদযাপনের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সব ভবনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়। ভোরবেলা গণজমায়েত হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ফাতেহা পাঠ করা হয়, শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয় এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এভাবে সমগ্র দেশে ঘটা করে বিশেষ মর্যাদার সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।

স্বাধীনতা দিবস | আন্তর্জাতিক ও জাতীয় দিবস | বাংলা রচনা সম্ভার

 

স্বাধীনতা দিবসের চেতনা:

স্বাধীনতা দিবস জাতি হিসেবে আমাদের আত্মমর্যাদার বর্ণিল স্মারক। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কোনো আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি কারো অধীনতা স্বীকার করতে পারে না। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ আমরা বিশ্বের বুকে আমাদের স্বাধীনসত্তা জানিয়ে দেয়ার গৌরব অর্জন করেছিলাম, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিলাম। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ২৬ মার্চের এ দিবসটি বিশ্বের মানুষের কাছে প্রমাণ করে দিয়েছে যে, বাঙালি জাতি বীরের জাতি। পুরো জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্বাধীনতার জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে।

রক্তস্নাত দোআঁশ মাটি ভিত্তি করে আবির্ভাব  ঘটেছিল নতুন করে এ জাতির। যে যেভাবে পারে অংশগ্রহণ করেছে মুক্তিসংগ্রামে। এক অবিস্মরণীয় সম্মিলনের ঐকতানে মিলিত হয়েছিল এ জাতি। লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল এ স্বাধীনতা। আমরা ভুলিনি। ভুলিনি সেই বীরগাথা মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী। ভুলিনি শহীদদের মহান আত্মত্যাগ।

 

স্বাধীনতা রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় :

স্বাধীনতা দিবস তথা ২৬ মার্চ আমাদের দেশের মানুষ যে উদ্যম, সাহস ও ভ্যাগের মানসিকতা নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, স্বাধীনতার ৩৪ বছর পর আজ ভাবার সময় এসেছে, আমরা কি আদৌ সে চেতনার লালন করেছি? এত কষ্টে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতে আমরা কতটুকু দৃঢ়প্রত্যয়ী, দেশের প্রতি আমাদের মমত্ববোধ কতটুকু, দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আমাদের করণীয় কী? আমাদের মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে তা রক্ষা করা কঠিন। স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়টি আজকের দিনে অর্থনৈতিক মুক্তি ও সমৃদ্ধির মধ্যে নিহিত ।

অর্থনৈতিকভাবে পরনির্ভর ও দারিদ্র্যজর্জর জাতির স্বাধীনতা হয়ে দাঁড়ায় কাগুজে। বাংলাদেশের সম্পদ সীমিত, অথচ লোকসংখ্যা সম্পদের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে দারিদ্র্য আর হতাশা জাতীয় জীবনে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মূল্য জনগণের কাছে বড় হয়ে দেখা দেয়নি। অতএব বহু কষ্টে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতাকে সার্বিক জীবনের স্বাধীনতার রূপদানের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতে হবে। বিদেশী সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে এখন স্বীয় চেষ্টায় নানা সামাজিক সমস্যা দূর করে আর্থিক সাফল্য অর্জন করতে পারলেই আমাদের প্রকৃত স্বাধীনতা রক্ষা হবে।

 

আমাদের সাহিত্যে স্বাধীনতা দিবস :

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের অমোঘ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির পূর্ণ বিকাশের সুযোগ ঘটেছে। সুতরাং দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে এর গভীর প্রভাব পড়েছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। নয় মাসের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা বাংলার মাটিতে উড্ডীন হয়েছিল । আর এ পতাকা উড্ডয়নের ঊষালগ্ন ছিল ১৯৭১- এর ২৬ মার্চ। বাংলাদেশের সাহিত্যে ২৬ মার্চের ঘটনাপ্রবাহ ব্যাপকভাবে না হলেও বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিফলন ঘটেছে।

রচিত হয়েছে কিছু গল্প, কবিতা, গান, নাটক, প্রবন্ধ ইতাদি। যেমন- লতিফুর রহমানের ‘শেখ মুজিব ও বাংলাদেশ’, আবু সায়ীদের ‘বাংলাদেশের গেরিলা যুদ্ধ’, আব্দুল হাফিজের ‘রক্তাক্ত মানচিত্র’ প্রভৃতি প্রবন্ধ। শামসুর রাহমানের “স্বাধীনতা তুমি’, ‘তোমার জন্য হে স্বাধীনতা’ প্রভৃতি কবিতা। হারুন হাবীব, রশীদ হায়দার, শওকত ওসমান প্রমুখের কিছু গল্প মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক। এছাড়াও নজরুল ইসলাম বাবু, আপেল মাহমুদ, সিকানদার আবু জাফর, আবদুল লতিফ প্রমুখ গীতিকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপর বেশ কিছু গান রচনা করেছেন।

স্বাধীনতা দিবস | আন্তর্জাতিক ও জাতীয় দিবস | বাংলা রচনা সম্ভার

 

উপসংহার :

জাতির কাছে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস সবিশেষ মর্যাদা নিয়ে উপস্থিত হয়। স্বাধীনতা দিবস জাতিকে তার রক্তাক্ত সংগ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কি দুরন্ত সাহস, কি অপরিসীম ত্যাগ আর কি সীমাহীন আত্মোৎসর্গের মাধ্যমে মুক্তি অর্জিত হয়েছিল তা এ দিনে সহজেই চেতনায় অনুভূত হয়। জাতির এই গৌরবময় ইতিহাসের কথা স্মরণে রেখেই প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। অনুষ্ঠানের বৈচিত্র্যে ও মর্যাদার গুরুত্বে নিবসটি জাতির সামনে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। স্বাধীনতা দিবসে জাতিকে নবচেতনায় উদ্দীপ্ত হতে হবে। এত বৃহৎ ত্যাগের স্বাধীনতাকে জাতীয় জীবনে অর্থবহ করে তুলতে পারলে শহীদদের আত্মত্যাগের মর্যাদা দান করা হবে। জাতির ভবিষ্যৎ জীবনকে উজ্জ্বল করা, সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকারের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসকে অর্থবহ করে তুলতে হবে।

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment